ভারতে করোনা সংক্রমনের হার নিম্নগামী হচ্ছে। গত ৫৪ দিনে সর্বনিম্ন দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমনের হার।
![]() |
Decreasing Corona Active Case In india |
নিউজ-বাংলা ডেস্ক(News18 Bangla) :- ধীরে ধীরে ভারতের করোনা সংক্রমনের গ্রাফ এখন অনেকটাই নিম্নগামী। গত দেড় মাসে যেখানে প্রবল সংখ্যায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়, সেখানে আজকের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে করোনার জেরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। যা এই মুহূর্তে ভারতবাসীর জন্য একটি আনন্দের খবর। এদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১,২৭,৫১০ জন। যা গত ৫৪ দিনের হিসাব অনুযায়ী সর্বনিম্ন আপাতত।
এদিনের অনুযায়ী যেমন সংক্রমণের হার নেমেছে তেমনই ইতিবাচক ভাবে নেমেছে মৃতের সংখ্যা। গত কয়েক দিনে যেভাবে করোনার জেরে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলছিল, তাতে করে একটা সময় এই অঙ্ক ছুঁয়েছে ৪ হাজারের ঘর। এরপর থেকে দেশে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই নামতে দেখা যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৭৯৫ জন। এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে। আরেকদিকে, মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক কমেছে। দৈনিক ৪ হাজার বা তাঁর বেশী মৃত্যু হচ্ছিল কদিন আগে, আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯৭৫ জনের। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৩১৮৯৫ জন।
এদিকে দেশে অ্যাক্টিভ কেস অনেকটাই নিম্নমুখী। এদিনের রিপোর্টের সূত্রে জানা যায়, অ্যাক্টিভ কেস ১৮,৯৫,৫২০ । মোট ভ্যাকসিনেশন করানো হয়েছে ২১,৬০,৪৬,৬৩৮ জনের। দেশে সর্বমোট ,২,৮১,৭৫,০৪৪ জন করোনা আক্রান্ত। এদিকে, ভারতে খুঁজে পাওয়া দুটি নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ করেছে হু। ডেল্টা ও কাপ্পা এই দুই নামে ভূষিত করা হয়েছে করোনার দুটি ভ্যারিয়েন্ট।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে না পেরে অনেক রাজ্যেই লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল।
বাংলাতেও এক দফার লকডাউন শেষ করে দ্বিতীয় দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। আরেকদিকে, এখন অনেক রাজ্যেই লকডাউন শিথিল করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে হয়ত পশ্চিমবঙ্গেও লকডাউন শিথিল করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপন।
এদিকে সূত্রে খবর অনুযায়ীজানা যাচ্ছে,দেশে ভ্যাকসিনেশন ইস্যুতে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে। গতকালই ১১ অ -এনডিএ শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লেখেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পি বিজয়ন। তিনি আর্জি জানান যাতে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদেরও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এদিকে তারপরই এদিন সকালে ঝাড়খণ্জের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নরেন্দ্র মোদীকে এই মর্মে চিঠি লেখেন। তবে মনে করা হচ্ছে, জুলাইয়ের মাঝমাঝি থেকে ভারতে ভ্যাকসিন পরিস্থিতি অনুকুল রূপ পাবে।
দেশে ক্রমহ্রাসমান করোনার গ্রাফ সাধারণ মানুষ আর চিকিৎসকদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফলে গোটা দেশ জুড়ে মানুষ বিপর্যস্ত হয়েছিল । হাসপাতালে বেড কম, শ্মশানে জায়গা নেই আর অক্সিজেনের তুমুল অভাব দেখা দিয়েছিল দেশে। কিন্তু এখন এই করুন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। আরেকদিকে, দেশে এখন টিকাকরণ অভিযানও চলছে। তবে অত্যাধিক বেশী মাত্রায় ভ্যাকসিনের উৎপাদন না হওয়ায় টিকাকরণ অভিযান অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।