মহিলার ব্যাগে একটি ডিলডো এবং অন্যান্য যৌনখেলনা (সেক্স) Toy তিনি দেখেছেন এরকম অভিযোগ তোলেন এক নিরাপত্তারক্ষী, ওই নিরাপত্তারক্ষী হল একজন মেট্রো টেশন এর সিকিউরিটি গার্ড, আর তিনি এই সমস্ত ছবি ভাইরাল করেছেন। আসুন বিস্তারিত কি হয়েছিল ওই দিন মেট্রো স্টেশনে জেনে নিন।
![]() |
মহিলা যাত্রীর ব্যাগ ভর্তি (সেক্স) Toy |
ঘটনাটি ঘটেছে চীনের বেইজিং শহরের এক মহিলা, মেট্রো যাত্রী এবং তার লাগেজ নিয়ে যখন সিকিউরিটি গার্ডের কাছে লাগত্র স্ক্যান করাতে যায় এবং সেই স্ক্যান করে সিকিউরিটি কিছু গোপনীয় জিনিস সেই মহিলার ব্যাগে দেখতে পাই। সমস্যা হয়েছে এইখানেই, ওই সিকিউরিটি গার্ড মহিলার ব্যাগ স্ক্যান করার ফলে মহিলার ব্যাগে দেখতে পাই, একটি চাবুক, একটি ডিলডো এবং অন্যান্য বিভিন্ন যৌন খেলনা জিনিসপত্র (সেক্স) Toy, এবং তিনি এটি দেখে একটি ছবি নেন, এবং ওই ছবি একটি গ্রুপে পোস্ট করেন।
ছবি শেয়ার করে এ বার বিপাকে পড়লেন এক সিকিউরিটি গার্ড। জানা গিয়েছে, চিনের গুয়াংঝু মেট্রোর (Guangzhou Metro) এক মহিলা যাত্রীর ব্যাগে ছিল সেক্স টয়। সেই ব্যাগ যখন লাগেজ স্ক্যানারে এক্স-রে হয়, তখন তার ছবি নিয়ে তা একটি গ্রুপ চ্যাটে শেয়ার করেন ওই মেট্রো স্টেশনের এক সিকিউরিটি গার্ড।
৭মে, একজন Weibo ব্যবহারকারী সেই গ্রুপ চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন, যে স্ক্রিনশটে রয়েছে ওই মহিলা যাত্রীর ব্যাগের এক্স-রে স্ক্যানের পোস্ট করা ছবিটি। যা কি না শেয়ার করেছেন ওই সিকিউরিটি গার্ড। এবিষয়ে গুয়াংঝু-ফোশন সাবওয়েতে (Guangzhou-Foshan subway) কর্মরত ওই সিকিউরিটি গার্ড জানান, ওই মহিলার ব্যাগের ভিতরে একটি চাবুক, একটি ডিলডো এবং অন্যান্য বিভিন্ন যৌন খেলনা (সেক্স) Toy তিনি দেখেছিলেন।
![]() |
(সেক্স) Toy |
একজন ব্লগার এটি প্রথম দেখেন এবং তিনি প্রথম পুলিশের কাছে মেট্রো স্টেশনের ওই সিকিউরিটি গার্ড তার বিরুদ্ধে এফআইআর করেন এবং অভিযোগ দায়ের করার সাথে সাথেই গার্ডের আচরণ সবার চোখে আসে, এবং সোশ্যাল মিডিয়ার এই নিয়ে তুমুল ঝড় ওঠে। এটি প্রচুর পরিমানে ভাইরাল হয়।
এইবার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করতে থাকেন। অনেকে দাবি একজন এতো নীচ মনের মানুষ কি সিকিউরিটি গার্ড হতে পারেন? যার ব্যক্তিগত জিনিসের ছবি তোলার অধিকার কে দিয়েছে? তাকে নিয়ে এই সমস্ত মন্তব্য আসতে থাকে যদিও ব্লগার এই স্ক্রিনশট শেয়ার করার পরে সেই সমস্ত ঘটনা জানতে পারে, তারপরেই তিনি সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। আর এই সমস্ত ঘটনার পরেই তাকে তার চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়